অজু করার নিয়ম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
![]() |
অজু করার নিয়ম |
অজুর বিবরণ
নবী পাক
( সাঃ ) বলেন-“ কেয়ামতের দিন আমার উম্মতগণকে এমন অবস্থায় পেশ করা হবে যে, তখন তাদের
চেহারা দুনিয়ায় থাকতে যে অজু করেছিল, উহার করকতে এমন ঝকমক করেতে থাকেবে – যেমন ঘোড়ার
কপালে দাঁদ উজ্জল দেখায় সুতরাং যে ব্যাক্তি
নিজের চেহারাকে কেয়ামতের দিন অধিককতর উজ্জল করতে চায় ,তার অধিক অজু করা উচিত ।
অপর এক হাদিসে
বলা হয়েছে- “কেউ যখন উত্তমরূপে অজু করে তখন অজুর পানি শরীর হতে গড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে
কোন কোন গুনাহ ঝরে যায় ।
তিরমিজী শরীফে
বর্ণিত এক হাদিসে আছে যে, হযরত রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) নামাযকে বেহেশতের চবি এবং অজুকে নামাযের চাবি স্বরূপ বলেছেন
।
বস্তুতঃ বিনা
অজুতে নামায পড়া দুরস্ত নেই । বিনা অজুতে নাময পড়িলে তো হইবেই না, বরং পাপী হয়তে হইবে
।
অজুতে চার
(৪) ফরজঃ-
১. কপালের উপরিভাগে চুল গজাবার স্থান হতে নীচ পর্যন্ত এবং
পার্শ্বের দিকে দুই কানের লতি পর্যন্ত পুরা
মুখমন্ডল ধৌত করা ।
২. কনুই সহ
দুই হাত ধোয়া ।
৩. মাথা মছেহ
করা ।
৪. দুই পায়ের
টাখনুসহ ধোয়া ।
অজু করার নিয়ম
১. অজুর নিয়ত
করা । অজুর নিয়ত করা সুন্নাত ।
অজুর নিয়ত
উচ্চারণঃ
নাওয়াইতু আন আতাওয়াযায়া লিরাফইল হাদাসি ওয়াস তিবাহাতিল লিস্সালাতি ওয়া তাক্বাররুবান
ইলাল্লাহি তায়ালা ।
অর্থঃ- আমি
নাপাকি দূর করার, শুদ্ধরূপে নামায পড়ার ও আল্লাহ্ তায়ালার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে অজু
করছি ।
২.আজুর শুরুতে
বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নাত ।
৩. দুই হাতের
কবজি সহ তিন বার ধোয়া ।
৪. মেসওয়াক
বা দাঁতন দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করা ।
৫. প্রত্যেকবারে
নতুন পানি দ্বারা তিন বার কুলি করা ।( রোজাদার
না হলে কলিতে গড়গড়া করা।)
৬. প্রত্যেকবারে
নতুন পানি দ্বারা নাক সাফ করা ।
৭. সমস্ত
মুখ তিন বার ধোয়া ।
৮. ঘন দাড়ি খিলাল করা মুস্তাহাব ।
৯. দুই হাতের
কনুই সহ তিন বার ধোয়া সুন্নত ।
১০. দুই হাতের
আঙ্গুলী খিলাল করা সুন্নাত ।
১১. সমস্ত
মাথা একবার মসেহ করা ।
১২. দুই কান
মাসাহ করা সুন্নাত ।
১৩. গর্দান
মাসাহ করা মুস্তাহাব ।
১৪. দুই পায়ের
টাকনু সহ তিন বার ধোয়া সুন্নাত ।
১৫. দুই পায়ের
আঙ্গুলী খিলাল করা সুন্নাত ।
১৬. অজুর শেষে কালিমা শহাদাত পড়া মুস্তাহাব ।
কালেমা শাহাদাত ( সাক্ষ্য বাক্য )
উচ্চারণঃ- আশ্হাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াদাহু লা-শারীকালাহু ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু ।
অর্থঃ- আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন মাবুদ নাই । তিনি এক, তার কোন শরীক ( অংশীদার )নাই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিতেছি যে, হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) আল্লাহর বান্দা ও প্রেরিত রাসূল ।
No comments