ধীরু ভাই আম্বানী (Dhirubhai Ambani ) মুকেশ আম্বানীর (Mukesh Ambani) পিতার সফলতার কাহিনী




দুনিয়াতে অনেক লোক জীবনে সফল হওয়ার জন্য নিজের পুরো জীবন কাটিয়ে দেয় কিন্তু সবাই সফল হতে পারে না কিন্ত কিছু লোক এমন আছে যারা হার মানে না এবং একদিন সফলতার দারে পৌছে যায় এমন লোক যখন সফল হয় তখন সকল মানুষ তাকে দেখে অনুপ্রাণিত  হয় এবং তার মতো সফল হতে চাই এরখম লোক বিশেষ করে তাদের বেশি অনুপ্রাণিত করে শিক্ষা দেয়  যারা হার মেনে চুপ করে বসে থকে


আজ আমরা এমন এক সফল লেকের কথা বলব যার কম্পানীর বৌদলতে আজ দুনিয়াতে ১৯ তম,এশিয়াতে ২য় তম এবং তার নিজ দেশ ভারতে ১ম ধনী ব্যাক্তিদের তালিকায় রয়েছে  মুকেশ ধীরুভাই আম্বানি (Mukesh Ambani) Forbes 2018 এর রির্পোট অনুযায়ী মুকেশ 44.2 বিলিয়ন ডলার নিয়ে দুনিয়ার ১৯ তম ধনী ব্যাক্তিদের তালিকায় রয়েছে


মুকেশ আম্বানীর(Mukesh Ambani)পিতা ধীরুভাই আম্বানী  (Dhirubhai Ambani )  ভারতের গুজরাটে ছোট একটা গ্রাম চরওয়াড এ ১৯৩২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিখ্যাত এই ব্যক্তির জন্ম হয় ।


বড় ভাব ,তাড়াতাড়ি ভাব,আর ভবিষ্যত  ভাব কেননা চিন্তার বিচারে কারো একটা রায় হয় না এথা বলেন ধীরুভাই আম্বানী  (Dhirubhai Ambani যিনি একটি সাধারন পরিবার থেকে দুনিয়ার সবথেকে ধনী ব্যাক্তিতের কতার ধরার জন্য বাধা-বিপত্তির রাস্তা পার করেছেন অনেক কম লোক যানবেন হয় তো ধুরু ভাই এর আসল নাম ধীরাজ লাল গোভারদানদাশ আম্বানী 

হাইস্কুল এই তিনি পড়াশুনা ছেড়ে দেন এবং তারপর  তিনি পাকোড়া ( পিঁয়াজু <ছোলার ডালের বদলে বেসন আর কম পিয়াজ দিয়ে সবজি ব্যবহার>) বিক্রি করতে শুরু করে দেন  

ধীরু ভাই বিশ্বাস করতেন টাকার সাথে পড়াশুনার কোন সর্ম্পক নেই , এটা নয় যে দুনিয়াতে শুধু পড়ালেখা যানা লোকরাই টাকা ইনকাম করতে পরে

কিছু বছর ধরে ভেজে ভেজে পাকোড়া বিক্রির পর সাল ১৯৪৮   ১৬ বছর বয়ছে বড় ভাই নামনি কাল আম্বানীর সাহায্যে তার এক বন্ধুর সাথে ইয়েমেনের এডেন শহরে কাজ করতে চলে যান  


এডেন পৌছে তিনি পেট্রল পাম্পে কাজ করেন কিছুদিন পর পেট্রল পাম্প মাস ৩০০ রুপি  বেতনে কাজ করেন


তিনি তার সারাদিনের কাজের পরও কোন না কোন পার্ট টাইম কাজ করতে থাকেন এতে করে সেখানকার সাথীদের থেকে তার কাছে বেশি টাকা ছিল কিন্তু তার পরও তার মাথায় একাটা কথা ঘুরতে থাকত যদি তাকে ধনী হতে হয় তাহলে তাহলে তাকে নিজের ব্যবস্যা শুরু করতেই হবে আর ব্যাবস্যা জন্য টাকা অবশ্যয় দরকার  

অনেক জায়গায় কাজ কারার পরও তিনি কাজে কোনদিন ফাকি দেন নি এবং মেহনত সততা দিয়ে নিজের দায়িত্ব কে পূরূন করেন তার মেহনত সততা দেখে খুশি হয়ে পেট্রল কোম্পানীর মালিক তাকে মেনেজার পদে দায়িত্ব দেন

তাতে খুজি হন নি তিনি তাই ভাবতে ভাবতেই তার মাথায় চাঁদীর (রূপা) পয়সা জড়ো করার বুদ্ধি আসে ।সে অনেক গুলো পয়সা জড়ো করে লন্ডন এর এক কম্পানীর কাছে বিক্রি করে দেয় এবং অনেক টাকা ইনকাম করে ।

ধীরু ভাই আম্বানী সেখানে দামী হোটেল এ চা খেতেন কেন এটা তার কাছে যানতে চাওযায় সে বলে দামী হোটেল গুলোতে বড় বড় ব্যবসায়ীক আসত যদের কথা শুনার আমার সুযোগ হতো ।


ধীরুলাল আম্বানী  ইয়েমেন এ  বিয়ে করেন ককিলাবেন কে এবং ১৯৫৭ সালে মুকেশ আম্বানী জন্ম নেয়  ইয়েমেনই।


কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর সে ইয়েমেন এ  কাজ  ছেড়ে দেয় এবং নিজের দেশ হিন্দুস্তান(ভারত) চলে আসেকারন তার মাথায় অন্য কিছুই চলছিল আর ধীরু ভাই এর চাকরী করা পছন্দ ছিল না ।

দেশে ফিরে  ধরিুভাই ১৫ হাজার টাকা দিয়ে  নিজের চাচা তো ভাই চাম্পাকলাল দামানীর সাথে মিলে ভারত (গুজরাট)  থেকে মশলা ইয়েমেনে রপ্তানী ও ইয়েমেন থেকে পলিস্টার কাপড়ের সূতা আমদানীর ব্যবসা শুরু করে ।

রিলায়েন্স কামর্শিয়াল কম্পানীর (RELIANCE COMMERCIAL COMPANY)প্রথম অফিস ছিল মসজিদ বন্দরের নরসিনাথ রোডে  

প্রথম দিকে তাদের অফিসে দুজন সহকারী ছিল। ৩৫০ বর্গফুট এর একটি ঘরে একটি টেবিল ,তিনটি চেয়ার, একটি টেলিফোন ছিল।


তাদের পরিশ্রমের ফলে কয়েক বছরের মধ্যেই তাদের কম্পানীর র্টান ওভার ১০ লাখ এ পৌছে যায় ।ঐ সময় পলিস্টার কাপড় ভারতে নতুন ছিল ও তখন সুতির কাপড়রের তলনায় মানুষজন পলিস্টার কাপড় বেশি পছন্দ করতে লাগল  কারন পলিস্টার কাপড়া সতাতা ও বেশি দিন টিকত । আর পলিস্টার কাপড়ে চমক ভাব থাকার কারনে পুরাতুন হওয়ার পরও নতুন দেখাত ।


মানুষজন বেশি পছন্দ করার কারনে অতি তাড়াতাড়ি তাদের মুনাফা অনেকগুন বেড়ে গেল ।  কিছু বছর পর ধীরু ভাই ও চাম্পাকলাল দামানীর ব্যবসায়িক জুটি ভেঙ্গে গেল কারন কেননা দুইজনের সভাব আর ব্যবসা করার পদ্ধতি আলাদা ছিল ।

কিন্তু ধরিু ভাই কখনো পিছনে ফিরে তাকান নি আর দেখতে দেখতে তিনি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে Telecom, Energy,Electricity,Petroleum এর ব্যবসায় কদম রাখেন ।

আপনি তার সফলতার অনুমান এটা দেখে লাগাতে পারেন যে আজ ধরিু ভাই  এর কম্পানীতে ৯০ হাজারের ও বেশি কর্মচারী কাজ করে আর ভারতে তার কম্পানী আজ শীর্ষে রয়েছে ।

যদি সময়ে সাথে আপনি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেনে এবং যদি আপনার ইচ্ছাশক্তি থাকে তাহলে কোন কিছুই অসম্ভব হবে না আপনার কাছে । 

৬ জুলায় ২০০২ এর ধীরু ভাই আম্বানী পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। কিন্তু তার সভাব আর বিনম্রতার কারনে আজও তিনি মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন ।

ধীরু ভাই বলেন যে সপ্ন দেখার সাহস করে সে পুরো দুনিয়া জিততে পরে ।  আর যদি নিজের সপ্ন পূরনের কাজ শুরু না করো,তাহলে অন্য কেউ তোমকে কাজে লাগিয়ে তার সপ্ন পূরণ করবে।

No comments

Powered by Blogger.