নামায পড়িবার নিয়মাবলী


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম 


ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে ঈমানের পরেই নামাযের স্থান । নামায মোট চার প্রকার । যথঃ ১. ফরজ ২. ওয়াজিব ৩.সুন্নত ৪. মুস্তাহাব বা নফল ।


নামায পড়িবার নিয়মাবলী

নামাযের নিয়ম

১. প্রথমে অজু করতে হবে।
২. জায়নামাযে দাঁড়িয়ে জায়নামাযের দোয়া পড়তে হবে ।
৩. তারপর নামযের নিয়ত করতে হবে ।
৪.নিয়তের পর তাকবীরে তাহরীমা বলে দুই হাত বাধঁতে হবে ।
৫. তারপর ছানাপড়তে হবে।
৬. ছানা পড়ার পর আউজুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতেহা সাথে অন্য সূরা মিলেয়ে পড়ে তৎপর রুকতে  গিয়ে রুকুর তাছবীহ পড়তে হবে।
৭.রুকুর তাছবীহ পড়ার পর দাড়িয়ে জামাতে হলে তাহমীদ পড়তে হবে একাকী হলে তাসমীয়াহ ও তাহমীদ পড়তে হবে ।
৮.তারপর সেজদায় গিয়ে সেজদার তাসবীহ পড়তে হবে ।
৯. এভাবে দুই রাকাত পড়ার পর বসতে হবে এবং তাশাহ্-হুদ(আত্তাহিয়াতু)দরূদ ও দোয়া মাসূরা পড়ে সালাম ফিরাতে হবে ।

জায়নামাজে দাঁড়িয়ে পড়ার দোয়া

উচ্চারণঃ ইন্নি ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহিয়া লিল্লাজী ফাতারাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানীফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন।
অর্থঃ নিশ্চয়ই আমি তাঁরই দিকে চেহারা ফিরালাম যিনি আসমান, যমীন সৃষ্টি করেছেন। আমি কখনও মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।

তাকবীরে তাহরীমা
উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার। অর্থঃ আল্লাহ মহান

পুরুষগণ কান পর্যন্ত এবং মহিলাগণ কাধঁ পর্যন্ত দুই হাত উঠাইয়া তাকবীরে  তাহরীমা বলিয়া পুরুষগণ নাভীর উপরে  পর্যন্ত আর মহিলাগণ বুকের উপরে বাম হাতের উপর ডান হাত বাধিয়া নাময শুরু করিবে।

ছানা

উচ্চারণঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা  ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাছ্মুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা- ইলাহা গাইরুকা।
তাআউজ

উচ্চারণঃ আউজু বিল্লাহি মিনাশ্ শাইত্বানির রাজীম।

তাসমিয়াহ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ।

রুকুর তাসবীহ

উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল্ আজীম।

তাসমীয়াহ

উচ্চারণঃ সামিয়াল্লাহ লিমান হামিদাহ।

তাহমীদ

উচ্চারণঃ রাব্বানা লাকাল হামদ।

সেজদাহর তাসবীহ

উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা।

তাশাহ্-হুদ(আত্তাহিয়াতু)


উচ্চারণঃআত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াচ্ছালাওয়াতু ওয়াত্তায়্যিবাতু আচ্ছালামু  আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।
অচ্ছালামু আলাইনা ওয়া আল্লা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন।
আশহাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহ ওয়া রাসূলুহু।


দরূদ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লাইতা আলা  ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি  ইবরাহিমা  ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিঁও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা  ইবরাহিমা  ওয়া আলা আলি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ ।

দোয়ায়ে মাছূরা

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী জালামতু নাফছী জুলুমান কাছীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম ।

সালাম

উচ্চারণঃ আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ।




দ্রষ্টাব্যঃ (১) তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ “আল্লাহু আকবার” বলে হাত বাধার পর মুক্তাদী হলে শুধু সুবহানাকা(ছানা) পড়ে চুপ করে থাকবে ।
ইমাম অথবা একাকী নামাজ পড়লে সুবহানাকা(ছানা) পড়ার পর “আউ’ যুবিল্লাহ” ও “বিসমিল্লাহ” পাঠ করে সূরা ফাতেহা পাঠ করবে এবং তার সাথে অন্য একটি সূরা তিলাওয়াত করে রুকু সিজদাহ করবে ।

দ্রষ্টাব্যঃ (২)  তিন কি চারি রাকয়াত নামায পড়ার নিয়ত  করলে প্রথম দুই রাকাত পাঠান্তে বৈঠকাবস্থায় আত্তাহিয়্যাতু পড়তে হবে ।
দুই, তিন কি চারি রাকায়াত নামায পড়ার নিয়ত করলে তা শেষ করতঃ বসে একই বৈঠকে উপরোক্ত আত্তাহিয়্যাতু ও দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।

যেখানে নামায দুই রাকাতের বেশি হয় সেখানে প্রথম বৈঠকে কেবল আত্তাহিয়্যাতু পড়ে বাকী নামায সম্পূন্ন করে শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু, দরূদসহ পাঠ করে জ্ঞাত থাকলে দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ করে প্রথমে ডান দিকে এবং পড়ে বাম দিকে সালাম ফিরাবে । 





No comments

Powered by Blogger.