পালিয়ে বিয়ে । দুজনের ভালবাসার সর্ম্পক যখন মেনে নেয় না যখন দু পক্ষের মানুষই তখন বাধ্য হয়ে অনেকে পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন ।
পালিয়ে বিয়ে করার চিন্তা আসলে প্রায় সকলের মাথায় চিন্তা আসে কোট ম্যারেজ এর কথা।
অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে কোর্টে গেলে বিয়ে হয় । এ ধারনাটি কি আদৌ ঠিক ধারনা । কোটে কি বিয়ে হয় ; যদি হয় তাহলে কাজী অফিসের কাজ কি ? আমার মতে তো না ।পালিয়ে বিয়ে করার রয়েছে কিছু ধাপ।যে ধাপ গুলো অনুসরণ করলে আপনি ভবিষ্যৎ কালে কোন আইনি ঝামেলায় পড়বেন না ।  কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখি পালিয়ে বিয়ে বা একাকি বিয়ে করার সকল আইনি ও সামাজিক  ধাপ গুলো ।
প্রথম ধাপ
কাজী অফিসঃ প্রথমে তো আপনাকে যেতে হবে কাজী অফিসে । কারণ কাজী অফিসে কাজীই আপনার বিয়ে পড়াবেন। কোর্টে উকিল,ম্যাজিস্ট্রেট,জর্জ নয় ।
কাজী অফিসে গিয়ে  রেস্ট্রার করতে হবে  অথাৎ কামিননামায় সাক্ষার করতে হবে । নিদিষ্টি দেন মহরানা  ঠিক করতে হবে আপনাদের ।  বয়স প্রমানের জন্য দুজনের  এস এস সি সার্টিফিকেট অথবা ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা ভোটর আইডি কার্ড দেখাতে হবে ।(পুরুষের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২১ মেয়ের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৮ বিয়ের বয়স) অতপর কাজী আপনাদের যথারীতিতে  বিয়ে পড়িয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করবেন । আর দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক  পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা সাক্ষী লাগবে ।মনে রাখবেন  কাবিননামায় হল মূল দলিল ।
কাজী অফিসে খরচপাতিঃ দেনমহরানার উপর ভিত্তি করে একটি বিয়ের রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়। প্রতি এক হাজার টাকায় ১২ টাকা ৫০ পয়সা হারে বিবাহ নিবন্ধন ফি আদায় করবেন কাজী।তবে দেনমহরের পরিমান যতই হক সর্বনিম্ন ফি ২০০ টাকার কম নয়। সকল খরচ বরকে বহন করতে হবে ।
দ্বিতীয় ধাপ
নোটারী পাবলিক(সরকারী রেজিস্টার্ড উকিল) অথবা  প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেটঃ  বিয়ে তো হয়ে গেল আপনার কাজী অফিসে । তো এখন ভাববেন বিয়ে তো হয়ে গেল তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট অথবা সরকারী উকিলের কাছে যাওয়ার কি প্রয়োজন ? প্রয়োজনটা এখন না হতে পারে  । আর এটা হল বারতি সর্তকতা। ভবিষ্যৎে মামলা থেকে  মোক্কোদমা বেগ পেতে এ ব্যবস্থা ।
নোটারী পাবলিক(সরকারী রেজিস্টার্ড উকিল) অথবা  প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়ে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্ট্রম্প নিতে হবে । তাতে লেখা থাকবে আপনারা দুজনে প্রপ্ত বয়স্ক এবং আপনার সেচ্ছায় স্বজ্ঞানে তৃতীয় কোন পক্ষের চাপ ছাড়ায় বিবাহ করেছেন । আরো লেখা থাকবে সাক্ষীর নাম,কাজীর ঠিকানা রেজিস্ট্রার নাম্বার ইত্যাদি বিষয়াবলী ।এটা কোন বিয়ের  দলিল নয় শুধু সমর্থন কারী দলিল।
যদি ভবিষ্যৎে মেয়ের বাবা(অবিভাবক) বা ছেলের বাবা(অবিভাবক) যদি মামলা করেন তাহলে জুডিসিয়াল ম্যাজিন্ট্রেটের সামনে  জবান বন্দিতে ছেলে অথবা মেয়ে কে বলতে হবে আমি সেচ্ছায় এ বিবাহ করেছি । আর তখন কছে লাগবে অপনার বিবোহের কাবিননামা আর নেটারী পাবলিকের কাছে করা সমর্থন কারী দলিল। তাহলে মামলার চার্জশিট পুলিশ দেবে না।

No comments

Powered by Blogger.